,

অর্থনীতি বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনে আসছেন

অনলাইন ডেস্কঃ ২০২৫ সালের ১ জুলাইয়ের পর সরকারি চাকরিতে যারা নতুন নিয়োগ পাবেন, তারা বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে এ ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম ও অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেট বক্তব্যে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ১৮ বছর বয়সের বেশি বয়সের জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে এ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, পেনশন সুবিধা পান এমন সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের আমরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসব। স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের ইতোমধ্যে এ ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্যও আমরা এ ব্যবস্থা চালু করব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সব অবসরভোগী সরকারি কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে মাসের শুরুতেই পেনশন পাচ্ছেন। পেনশনারদের জন্য পাইলট ভিত্তিতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জীবিতাবস্থা যাচাইকরণ চালু করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট দেশে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা দিয়ে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট মাসে নিবন্ধন হয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৯ জনের। আর পেনশন তহবিলে জমা পড়েছে ৮২ কোটি টাকা।

‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের আকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

নতুন অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বলেন। এগুলোর জন্য তিনি দায়ী করেন কোভিড-পরবর্তী ‘রাশিয়া-ইউক্রেন’ যুদ্ধকে। একইসঙ্গে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রিজার্ভ বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতি কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *